নিরেন দাস,জয়পুুরহাট প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  শিক্ষককে  লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই শিক্ষকের কপাল রক্তাক্ত জখম হয়েছে।  এঘটনায়  ওই শিক্ষক বাদি হয়ে শুক্রবার বিকেল আক্কেলপুর  থানায়  একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে এ রির্পোট লেখা (শুক্রবার রাত দশটা পর্যন্ত) ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আক্কেলপুর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতারা এঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
আহত ওই শিক্ষক হলেন, আমিনুল ইসলাম ওরফে শোভন (৪০)। তিনি উপজেলার জালালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি আক্কেলপুর পৌর শহরের হাজিপাড়া মহল্লার বীরমুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের ছেলে।
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়  সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়  শিক্ষক আমিলুল ইসলাম পৌর শহরের কলেজ বাজারে গিয়েছিলেন। তিনি রাত সাড়ে সাতটায় মোটর সাইকেলযোগে সেখান থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। শহরের রেলগেট এলাকার চৌধুরীপাড়া মোড়ে এসে যানজটের  কারণে সড়কের পাশে মোটরসাইকেল দাঁড় করান। এসময় এক ব্যক্তি এসে সেখানে  মোটরসাইকেল কেন দাঁড় করেছে তা জানতে চায়। এনিয়ে তাঁদের মধ্য তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা  শিক্ষক আমিনুল ইসলাম শোভনকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং কিল-ঘুষি দিয়ে আহত করে  দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়ে। আমিনুল ইসলামের চিৎকারে লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে নিয়ে যান।
শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি যানজটের কারণে মোটরসাইকেলে দাঁড়িয়েছিলাম। এনিয়ে একজনের সঙ্গে তর্কাতর্কি হওয়ার পর দুর্বৃত্তরা এসে আমাকে কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারপিট করে। আমি একজনকে চিনতে পেরেছি।
আক্কেলপুর উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল ফজল মোঃ রায়হান বলেন, দুর্বৃত্তরা জালালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করেছেন। এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি করছি। পাশাপাশি শিক্ষকদের সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের কাছে দাবি করছি।
বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে আক্কেলপুর থানার (ওসি তদন্ত) আব্দুল মালেক সাথে কথা বললে তিনি বলেন,অভিযোগ নেয়া হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।